এ এ রানা:::
সিলেটের গোলাপগঞ্জে প্রায় সাড়ে সাত বছর আগে মারা যাওয়া লোকের নামে টিলা কাটার অভিযোগে নোটিশ পাঠিয়েছে সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর। নোটিশে তাকে সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে শুনানিতে অংশ নিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) উপজেলার পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের ধারাবহর গ্রামের রফিকুল ইসলামের নামে এমন নোটিশ দেওয়া হয়। এদিকে তিনি ২০১৫ সালের ২৫ আগস্ট মারা যান। পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে একই বছরের ২০ ডিসেম্বর রফিকুল ইসলামের মৃত্যুসনদ দেওয়া হয় (সনদ নম্বর-০০০৩২, বহি নং-০০৫)।
সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেনের স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে রফিকুল ইসলাম ছাড়াও উপজেলার আরও ৬ জনকে ১২ জানুয়ারি সকাল ১০টায় শুনানিতে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়। ছয়জনের মধ্যে রফিকুল ইসলাম ভাতিজা সাইফুল ইসলামের নামও রয়েছে।
এদিকে, ওই নোটিশ পেয়ে ১৫ জানুয়ারি সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন রফিকুল ইসলামের ছেলে ফখরুল ইসলাম। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, নোটিশে উল্লেখিত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। রফিকুল ইসলাম ২০১৫ সালের ২৫ আগস্ট মারা গেছেন। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের হয়রানির করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমনটি করা হয়েছে। তদন্তকারী সরেজমিন না গিয়ে ভিত্তিহীন একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। সরেজমিন পরিদর্শন করলে তাঁদের বিরুদ্ধে টিলা কাটার কোনো অভিযোগ পাওয়া যাবে না।
ফখরুল ইসলাম বলেন, তাদের বাড়ি টিলার ওপরে। সেটি প্রায় ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে রয়েছে। তাদের পরিবারের কেউ টিলা কাটার সঙ্গে জড়িত নন। কিন্তু আশপাশে টিলাসদৃশ ভূমি আছে। প্রভাবশালী মহল সেসব টিলা কাটছে। মূলত, সেগুলো ঢাকতে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘মৃত বাবার নামে নোটিশ পেয়ে আমরা হতবাক হয়েছি। নোটিশটি আমাদের বাড়িতেও দেওয়া হয়নি। ইউনিয়ন ভূমি অফিসে রাখা ছিল। শুনানির সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর মুঠোফোনে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ফোন পেয়ে বিষয়টি জানতে পারি।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, টিলা কাটার ব্যাপারে প্রতিবেদন তৈরি করেছেন ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের তহশিলদার (ভূমি সহকারী কর্মকর্তা)। ওই প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হয়ে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে এসেছে। সেই অনুযায়ী নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ভূমি সহকারী কর্মকর্তা টিলা কাটার দায়ে জমির মালিকের নাম বের করে হয়তো নোটিশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে মৃত ব্যক্তির ছেলেকে পরবর্তী শুনানিতে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে। পরবর্তী শুনানিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।